একটি শিক্ষনীয় ও অনুপ্রেরণার গল্প |
সফলতা ও অনুপ্রেরণার গল্প
দুজন ব্যাক্তি একটা খালের ধারে বসে মাছ ধরছিল । ওই খালের পানিতে নিজেদের ছিপ ফেলে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর, প্রথম ব্যক্তির ছিপে একটা বড় মাছ আটকায়। সে সেই মাছ টাকে ধরে খুবই আনন্দিত হয়। সে মাছটাকে তার কাছে থাকা একটা থলিতে রেখে দেয় আর আবার পানিতে ছিপটা ফেলে দেয় ।আবারও ছিপে মাছ উঠে তা দেখে লোক টি খুব আনন্দিত ছিল।
শিক্ষার্থীদের জন্য অনুপ্রেরণার গল্প
জীবনেও আমরা এমন কিছু কাজ করে থাকি । দেখা যায় তখন অনেক সহজেই আমাদের কাছে অনেক বড় আনন্দের রেজাল্ট চলে আসে। আমাদেরও উচিত ওই প্রথম ব্যক্তির মত সেই সফলতার আনন্দের সঙ্গে এনজয় করা । কিন্তু সেই আনন্দে ভেসে না গিয়ে আবার নতুন করে কাজ শুরু করতে হবে।
গল্পের যে দ্বিতীয় ব্যক্তিটি ছিল সে অনেকক্ষণ ধরে ছিপ ফেলে অপেক্ষা করা সত্ত্বেও, তার ছিপে কোন মাছ উঠেনি। আর এইটা দেখে প্রথম ব্যক্তি দ্বিতীয় ব্যক্তিটিকে বলেছিল যে, আমি তোয়ায় মাছ ধরতে কি সাহায্য করব ? কিন্তু দ্বিতীয় ব্যক্তিটি সরাসরি তাকে না বলে দিয়েছিল ।এরপর প্রথম ব্যক্তিটি আর কিছু বলেনি। সে আবার নিজের মাছ ধরাই ব্যস্ত হয়ে যায়। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই আবারও অনেক বেশ কিছু ছোট ছোট মাছ ছিপে উঠেছিল।
কিছু শিক্ষনীয় কথা
আমাদের জীবনেও সব সময় কিন্তু প্রথম ব্যক্তির মত রেজাল্ট আমরা পাই না । অনেক সময় আমরা অনেক প্রচেষ্টা করার পরেও আমাদের হাতে কোন রকম রেজাল্ট আসে না । তখন আমাদের উচিত, সেই কাজের জন্য অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ কোনো মানুষের সাহায্য নেওয়া । কিন্তু আমরা অনেক সময় নিজের ভেতরকার অহংকারের কারণে অন্য কারোর থেকে সাহায্য নিতে স্বচ্ছন্দ বোধ করি না । আমরা যখনই কোন স্বপ্ন দেখি বা কোন লক্ষ্য স্থির করি আর যখন সেই লক্ষ্যের জন্য কাজ শুরু করি । তখন এই প্রকৃতি কিন্তু বারবার আমাদের কাছে কিছু মানুষকে পাঠিয়ে দেয় , যারা আমাদের এই স্বপ্নের জার্নিতে সাহায্যকারী হতে পারে ।
অনেক সময় এটা ডাইরেক্টলি আবার অনেক সময় এটা ইনডাইরেক্টলি হয়। কিন্তু আমরা আমাদের মনের মধ্যে তৈরি থাকা বিশ্বাস সিস্টেমের চশমা পড়ে থাকি বলে , তাদেরকে দেখতে পাই না । আর অনেক সময় দেখতে পেলেও আমরা অহংকারের কারণে সাহায্য নিতে বা পরামর্শ নিতে চাই না ।
কিন্তু সফল হতে গেলে আমাদের এই চশমাকে খুলে ফেলে, অহংকার কে মন থেকে দূর করে ফেলতে হবে । আর সফল মানুষদের থেকে শিখতেই হবে। তারা শেখাতে না আসলে আমাদের নিজে থেকে তাদের কাছে শিখতে যেতে হবে । আর বুদ্ধিমান ব্যাক্তিরা কিন্তু এটাই করে থাকে।
যখন দ্বিতীয় ব্যক্তির ছিপে মাছ উঠে ছিল
অনেক খুন পরে গল্পের দ্বিতীয় ব্যক্তির ছিপে কয়েক টা বড় বড় মাছ উঠে ছিল। কিন্তু সে সেই মাছ গুলোকে দেখছিল আর কিছু একটা ভাবছিল। আর আবার সেই মাছ গুলোকে খালের পানিতে ছেড়ে ছেড়ে দিচ্ছিল । এই দেখে প্রথম ব্যক্তি তাকে জিজ্ঞেস করে যে , আপনি কেন এমন করছেন ? দ্বিতীয় ব্যক্তি সে উত্তর দেয় যে , আমার ধরা মাছ গুলো সাইজ অনেক বড় । আর এই বড় মাছ গুলো রান্না করার মতো আমার কাছে তেমন কোনো বাসন নেই । সেই জন্য আমি এই বড় মাছ গুলোকে জলে ফেলে দিচ্ছি। আর আমার কাছে থাকা বাসনের সাইজ অনুযায়ী কোন ছোট মাছের জন্য অপেক্ষা করছি ।
আর গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
এই দ্বিতীয় লোক টা থেকে আমরা যা শিখতে পারি
এই দ্বিতীয় লোক টা থেকে আমরা শিখতে পারি ,মনে করো এখানে দ্বিতীয় ব্যক্তির ছিপে ধরা পড়া একেকটা বড় বড় মাছ আমাদের জীবনের আসা একেকটা বড় বড় সুযোগের মতো । যেগুলো আমাদের প্রত্যেকের জীবনে বারবার আসে না। আমরা কঠোর পরিশ্রম করে সুযোগ গুলো তৈরি তো করি । কিন্তু আমরা ওই দ্বিতীয় ব্যক্তির মতই এক এক করে সুযোগকে নষ্ট করে ফেলি। কেন নষ্ট করে ফেলি ? নষ্ট করে ফেলি, কারণ আমাদের মধ্যে নিজেদের নিয়ে এমন কিছু বিশ্বাস সিস্টেম তৈরী হয়ে আছে, যাতে যখন আমাদের কাছে সেই সুযোগ আসে আমরা সেগুলোকে নিজেদের শক্তি অনুযায়ী ম্যাচিং করার চেষ্টা করি । আর যখন দেখি যে আমাদের দক্ষতা অনুযায়ী , আমাদের ক্ষমতা অনুযায়ী , কিংবা আমাদের বর্তমান অবস্থার অনুযায়ী সেই সুযোগগুলো একটু বেশি বড়ো । আমরা সেগুলোকে সাথে ফিট করতে না পেরে নষ্ট করে ফেলি ।
কখনো আমাদের অবস্থা অনুযায়ী আমাদের শক্তি অনুযায়ী সুযোগ আসবে, তার জন্য আবার অপেক্ষা করি।
গল্পে প্রথম ব্যক্তি দ্বিতীয় ব্যক্তি কে বলেছিল যে , তোমার কাছে যদি বড় মাছ রান্না করার মত বাসন না থাকে, তাহলে তুমি বড় মাছ কে টুকরো টুকরো করে কেটে তারপর রান্না করতে পারো । আর যদি মন করতে ওই বড় বড় মাছ গুলোকে বাজারে বিক্রি করে, তুমি নিজের জন্য একটা বড় বাসন কিনতে পারতে ।
যুব শক্তির অনুপ্রেরণার গল্প
এখান থেকে আমরা কি কি শিখতে পারি ? আমাদের কাছে যখন এমন কোন সুযোগ আসবে, যেগুলো আমাদের এই মুহূর্তে নিজেদের শক্তি অনুযায়ী অসম্ভব বলে মনে হবে , অনেক কঠিন বলে মনে হবে , তখন আমরা সুযোগ গুলোকে ছেড়ে না দিয়ে , সেই সুযোগ কে ছোট ছোট করে স্বপ্নে ভাগ করে নিতে পারি । তারপর সেই এক একটা ছোট ছোট স্বপ্ন কে বাস্তবে রুপ দিতে পারি। যাতে ছোট ছোট স্বপ্ন গুলোর সংযোগে একটা বড় স্বপ্ন হয়ে যাবে ।
এই গল্পের সবচেয়ে বড় যে শিক্ষাটা হলো যে, সুযোগ কখনো আমাদের স্ট্রেন্থ আর সিচুয়েশন অনুযায়ী আসে না । আমাদের বুঝতে হবে যে সুযোগটা প্রকৃতি আমাদের দিয়েছে । আর আমরা নিশ্চয় এটাকে কাজে লাগাতে পারবো বলেই , প্রকৃতি আমাদের এই কাজ টি দিয়েছি । আর এর জন্য চাই সঠিক মাইন্ড সেট , সঠিক প্ল্যানিং আর একটু খানি রিস্ক নেওয়ার ক্ষমতা । তাহলেই আমাদের জীবন টা আমরা নিজে-রাই বদলে ফেলতে পারবো ।
❝ আমরা বাঙালী ব্লগের পক্ষ থেকে আমি অন্তর। এই ব্লগ টি তোমার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই একটা শেয়ার করে দিও । আর এর সাথে কমেন্ট করতে ভুলে যেওনা , কারন তোমার একটি কমেন্ট আমাদের কাছে অনুপ্রেরণা স্বরুপ ❞
Tags: Positive stories bangla, Motivational story in bengali, Success story in bengali, Positive story in bengali, Educational story in bengali, Failure story in bengali, Bangla motivation, Motivational Story Bengali, Inspiration Story bangla, Bengali Advice Story, যুব শক্তির অনুপ্রেরণার গল্প,সফলতা ও অনুপ্রেরণার গল্প,শিক্ষার্থীদের জন্য অনুপ্রেরণার গল্প
আমাদের আরও একটি সাইট; WeBangali.Com
0 Comments:
⚠️ এমন কোনো মন্তব্য করবেন না যাতে, অন্য কোনো ব্যাক্তির সমস্যা হয়।