Bangla Best Inspiration Story সফলতা ও অনুপ্রেরণার গল্প
Bangla Inspiration and Motivational Story |
শিক্ষার্থীদের জন্য অনুপ্রেরণার গল্প
হয়তো কেউ একবার খুব দামি একটা কথা বলেছিল যে , চাঁদ কোনদিনও আমাদের কানে কানে এসে বলে না, যে আমি কতটা সুন্দর । বরং আমরা নিজেরাই বুঝে যাই যখন সেই চাঁদের জ্যোৎস্না এসে আমাদের চারপাশে পড়ে ।
আজ থাকছে ছোট একটা গল্প আপনাদের জন্য । গল্পটা এক রাজ্যে থাকা এক পন্ডিত ব্যক্তির। এবং সে এতটাই ছিল বিদ্বান ছিল যে , দেশ বিদেশ থেকে বিভিন্ন রাজ্যের রাজারা তার কাছে জ্ঞান লাভের জন্য আসতো । পন্ডিত যে রাজ্যে থাকত সে রাজ্যের একটা নিদিষ্ট স্থানে প্রত্যেক দিন সভা বসত ।সেই সভায় পন্ডিত মশাই ও রাজামশাই সহ বাকি সদস্যরা উপস্থিত থাকতেন । প্রত্যেক দিনের মতো এমনই একটা দিনে সভা বসে সেখানে পন্ডিত, রাজা সহ সবাই উপস্থিত ছিল। এবং একটা সময় পরে সেই সভা সমাপ্ত হলো। এবং পন্ডিত মশাই উঠে দাঁড়ায় বাড়ি যাওয়ার জন্য । ঠিক সেই সময়তেই রাজামশাই পিছু ডেকে পন্ডিত মশাইকে জিজ্ঞাসা করেন । পন্ডিত মশাই আমি আপনাকে আজকে কিছু একটা বলতে চাই যে , আপনি এত বিদ্বান প্রকৃতির মানুষ, আপনার মধ্যে জ্ঞানের এতো ভান্ডার রয়েছে কিন্তু আপনার ছেলে এত মূর্খ কেন ?
রাজা মহশাইয়ের কথা শুনে পন্ডিত বলে কেন রাজামশাই আমার ছেলে কি করেছে যে আপনি তাকে মূর্খ বলছেন । রাজা বলে কারণ আমি তাকে যতবারই সোনা আর রুপোর মধ্যে থেকে যেটা সব বেশি দামী সেটা বাঁচতে বলি প্রত্যেক বারই সে রুপোটাকে বেছে নেয় । রাজার এই কথা শুনে রাজসভার প্রত্যেকেই হু হু করে হেসে ওঠে । পন্ডিত মশাই তো খিল্লি উড়ে গেছে। লজ্জায় সে কি করবে সেখান থেকে বিদায় নেয় বাড়িতে চলে যায় । বাড়িতে গেছে সেখানে ছেলে জল নিয়ে বাবাকে জল দেবে জল গ্রহণ করবে। যখন ছেলে গ্লাসে করে জল নিয়ে এলো তখন বাবা বললো।
তুই আগে আমাকে বল যে সোনা, রুপোর মধ্যে কোনটা সবচেয়ে বেশি দামি ? ছেলে বিদ্যুতের গতিতে জবাব দেয় যে, সোনা সবচেয়ে দামী ? তখন তার বাবা বলে যে, তাহলে তুই রাতসভাতে গিয়ে কেন বলিস ? যে রূপ সবচেয়ে বেশি দামী। ছেলে বলে আসলে হয়েছে কি বাবা আমি যখন প্রত্যেক দিনই বিদ্যালয় থেকে ফিরি তখন আমি দেখি রাজামশাই বিভিন্ন বিদ্যান লোক নিয়ে, বিভিন্ন সপ্রতিষ্ঠ লোকেদের নিয়ে একটা সভা বসায় খোলা জায়গাতে । সভা বসায় তো সেখানে বিভিন্ন গণ্যমান্য লোকেরা আসে, রাজামশাই কি করে আমাকেও সেখানে ডেকে নেয়। এবং ডেকে নিয়ে প্রত্যেক দিনই আমাকে শুধু একটা কাজ দেয়। নিজের দুটো হাতের মধ্যে এক হাতে সোনা রেখে দেয়, আর এক হাতে, রুপো রেখে দেয় । এবং বলে যে কোনটা সবচেয়ে বেশি দামী সেটা তুমি তুলে নিয়ে যাও । তো আমি প্রত্যেক দিন-ই রুপোটাকে তুলে নিই । সেখানে যারা বাকি সদস্যরা থাকে হো হো করে হেসে ওঠে আমাকে দেখে । তখন আমি কিছু বলতে পারি না , সেটাকে নিয়ে বাড়িতে চলে আসি ।
তখন তার বাবা বলেন আচ্ছা তুই যখন জানিস যে রুপোর থেকে সোনা সবচেয়ে বেশি দামী , তাহলে তুই রুপো টাকে-ই তুলিস কেন বল আমায় ?
ছেলে কিছু না বলে তার বাবাকে নিয়ে ঘরের ভেতরে চলে যায় । এবং ছেলে বলে এসো আমি তোমাকে কিছু একটা দেখাতে চাই। ছেলে তার বাবাকে ভেতরে নিয়ে যায় এবং সেখানে বড় মত একটা সিন্দুক ছিল সেটাকে খুলতে বলে ছেলে বাবাকে । যখন খোলে তখন তার বাবার চোখ ছানা বড়া হয়ে যায় । বাবা দেখতে পায় যে, সিন্দুকে প্রচুর রুপোর মুদ্রারা রাখা ছিলো । এই সব দেখে বাবা বলে এগুলো কি ? ছেলে বলে এগুলোই তো সেই রুপোর কয়েন , যেগুলো আমি রাজার কাছ থেকে প্রত্যেক দিনই নিয়ে আসি । এই কথা শুনে পন্ডিত মশাই যা বোঝার বুঝে যায় ।
যুব শক্তির অনুপ্রেরণার গল্প
ছেলে তখন বলে যে , বাবা আমি প্রত্যেক দিনই সোনা রুপোর কয়েনর মধ্যে রুপোর কয়েন নিই এই কারণে যে , যদি আমি সোনার কয়েন রাজা মশাইয়ের হাত থেকে তুলি নিই তাহলে সেদিনই খেলাটা বন্ধ হয়ে যাবে । ফলে একটি সোনার কয়েন নিলে হয়তো হাজারো রুপোর কয়েন পেতাম না।তাই আমি সোনা রুপোর মধ্যে রুপো টাকে বেছে নিই প্রত্যেক বার।
এই কথা শুনে তো পন্ডিত মশাই বুঝে গেছে যে৷ তার ছেলে প্রচন্ড রকমের তীক্ষ্ণ ও বুদ্ধি সম্পূর্ণ ।
পন্ডিত মশাইয়ের ছেলের এই কথাটা আর পেটে চেপে রাখতে পারেন না । পরের দিনই চলে গেছে রাজার দরবারে । সেখানে গিয়ে ছেলেকে নিয়ে গেছে, ছেলে যখন রাজাকে সমস্ত কথাটা জানালো এবং বলল যে, রাজা মশাই, আমি প্রত্যেক দিনই আপনার হাত থেকে রুপোর কয়েন নেই এই কারণে যে , আমি যদি কোনদিন সোনার কয়েন তুলে নিতাম তাহলে আপনি হয়তো সেদিনের পর থেকে আর আমায় ডেকে নিয়ে বলতেন না যে, কোনো দুটো কয়েনের মধ্যে একটি কয়েন বেছে নাও।
রাজামশাই এই কথা শুনে খুব খুশি হয়। আর এই ছেলের এই কথার কারণে খুশি হয়ে সারা রাজ্যে ঘোষণা করে দেয় যে , সেই সবচেয়ে বেশি বিদ্বান, পন্ডিত, চালাক,চত্বর জ্ঞান সম্পূর্ণ ছেলে । এবং আরও রাজামশাই বলে , পন্ডিতের বিদ্যান অনুযায়ী তার এমন ছেলেই পন্ডিতের ছেলে হবার জন্য একমাত্র যোগ্য । এবং রাজামশাই খুশি হয়ে তাকে একটা বড় বাক্সে করে সিন্দুক ভর্তি করে তাকে স্বর্ণের কয়েন উপহার হিসাবে দেয় ।
এই সব ছোট ছোট গল্প আমাদেরকে শিখিয়ে দিয়ে যায় যে, বন্ধু আপনার মধ্যে যদি সামর্থ্য থাকে বা অসীম ক্ষমতা থাকে তাহলে সেটা কোনোদিন কারোর কাছে বলার দরকার নেই বা নিজেই মুখ ফুটে কোনো দিনও বলতে যাবেন না । কারণ যখন সময় আসবে সেদিন-কে আপনার বিশেষ ক্ষমতা টা আপনা-আপনিই গোটা পৃথিবী জেনে যাবে । হয়তো আমার কথা আপনি কিছু টা হলেও বুঝতে পেরেছেন। একটা কথা আছে বাংলায় যা আমি গল্পের প্রথমেই বলে দিয়েছি যে , চাঁদের জ্যোৎস্না আর সূর্যের আলো বা তেজ কোনদিনও চেপে রাখা যায় না । সেটা একদিন না একদিন বেরিয়ে আসে । তেমন ভাবেই যদি আপনার অসীম বা বিশেষ ক্ষমতা থাকে, তাহলে সেটার সম্পর্কে অন্যের কাছে বলার দরকার নেই । কারণ জীবনে একদিন সফলতা আসবেই, আর সেই দিনকেই গোটা পৃথিবী জেনে যাবে বা বুঝতে পারবে তোমার অদৃশ্য ক্ষমতার ব্যাপারে।
যদি আপনার জীবনে সংঘর্ষ থাকে তাহলে , আপনি নিজের উপরে গর্ব বোধ করুন। কারণ যার জীবনে সংঘর্ষ নেই তার জীবনে সফলতা বা সফলতার যে আনন্দ বা শান্তি কিছুই আর থাকে না। আর তখন সে জীবনে সফল হয়েও সফলতার সুখ ভোগ করতে পারে না ।
আমরা বাঙালী ব্লগের পক্ষ থেকে আমি অন্তর। এই গল্প টি তোমার কেমন লাগলো তা কমেন্টে করে জানাবে। কারণ তোমার একটি কমেন্ট আমার কাছে অনুপ্রেরণা স্বরুপ। ভালো থেকে আর ভালো রেখো
Tags: Positive stories bangla, Motivational story in bengali, Success story in bengali,Positive story in bengali, Educational story in bengali, Failure story in bengali, Bangla motivation, যুব শক্তির অনুপ্রেরণার গল্প, সফলতা ও অনুপ্রেরণার গল্প, শিক্ষার্থীদের জন্য অনুপ্রেরণার গল্প
আরও অনুপ্রেরণা মূলক গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
0 Comments:
⚠️ এমন কোনো মন্তব্য করবেন না যাতে, অন্য কোনো ব্যাক্তির সমস্যা হয়।